পুরুষদের মধ্যে যৌন সক্ষমতা কমে যাওয়ার অনেক কারণ রয়েছে, যা শারীরিক, মানসিক বা জীবনধারা সংক্রান্ত হতে পারে। এখানে প্রধান কিছু কারণ ব্যাখ্যা করা হলো:
১. শারীরিক কারণ
- হৃদরোগ এবং রক্ত সঞ্চালনের সমস্যা: ইরেকশনের জন্য পর্যাপ্ত রক্ত সঞ্চালন প্রয়োজন। হৃদরোগ, উচ্চ রক্তচাপ, এবং এথেরোস্ক্লেরোসিসের মতো রক্ত সঞ্চালনের সমস্যা যৌন সক্ষমতা কমাতে পারে।
- ডায়াবেটিস: ডায়াবেটিসের কারণে স্নায়ু ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে এবং রক্ত প্রবাহের সমস্যা দেখা দিতে পারে, যা ইরেকশন পাওয়া কঠিন করে তোলে।
- হরমোনের ভারসাম্যহীনতা: টেস্টোস্টেরন হরমোনের মাত্রা কমে যাওয়া যৌন আকাঙ্ক্ষা এবং সক্ষমতা কমাতে পারে।
- স্থূলতা: অতিরিক্ত ওজন শরীরের উপর চাপ সৃষ্টি করে, যা যৌন অক্ষমতার সম্ভাবনা বাড়ায়।
- ধূমপান এবং মাদকাসক্তি: ধূমপান এবং মাদকের কারণে রক্তনালী সংকুচিত হয়ে যায়, যা ইরেকশনের জন্য ক্ষতিকর।
২. মানসিক কারণ
- উদ্বেগ এবং হতাশা: মানসিক চাপ, উদ্বেগ বা হতাশা যৌন আকাঙ্ক্ষা কমিয়ে দিতে পারে এবং ইরেকশনে সমস্যা তৈরি করতে পারে।
- আত্মবিশ্বাসের অভাব: যৌন সক্ষমতার বিষয়ে নেতিবাচক চিন্তা বা পূর্ব অভিজ্ঞতা থেকে সৃষ্ট আত্মবিশ্বাসের ঘাটতি যৌন অক্ষমতার দিকে নিয়ে যেতে পারে।
- সম্পর্কের সমস্যা: সম্পর্কের দ্বন্দ্ব বা যৌন জীবনে অসন্তুষ্টি মানসিক চাপ বাড়াতে পারে, যা যৌন সক্ষমতার ওপর প্রভাব ফেলে।
৩. জীবনধারা সংক্রান্ত কারণ
- ব্যায়ামের অভাব: শারীরিক ক্রিয়াকলাপ কম হলে রক্ত সঞ্চালন দুর্বল হয়ে যেতে পারে, যা যৌন সক্ষমতা কমিয়ে দেয়।
- অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস: সঠিক পুষ্টির অভাব এবং ফাস্ট ফুড বা তেল-চর্বি যুক্ত খাবার খাওয়া যৌনস্বাস্থ্য ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে।
- পর্যাপ্ত ঘুমের অভাব: ঘুম কম হলে হরমোনের ভারসাম্য নষ্ট হয় এবং মানসিক চাপ বেড়ে যায়, যা যৌন জীবনকে প্রভাবিত করতে পারে।
৪. চিকিৎসাজনিত কারণ
- কিছু ঔষধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া: ডিপ্রেশন, উচ্চ রক্তচাপ, বা কেমোথেরাপির জন্য ব্যবহৃত কিছু ঔষধ যৌন সক্ষমতা কমিয়ে দিতে পারে।
- সার্জারি বা আঘাত: প্রোস্টেট সার্জারি বা পেলভিক অঞ্চলে আঘাতের ফলে যৌন অক্ষমতা দেখা দিতে পারে।
পরিশেষে
পুরুষদের যৌন সক্ষমতা কমে যাওয়ার পিছনে নানা কারণ থাকতে পারে, তাই সমস্যা নির্ণয় ও সমাধানের জন্য সঠিক চিকিৎসা এবং পরামর্শ গ্রহণ করা গুরুত্বপূর্ণ।